বর্তমানে ভারতের টেলিকম বাজারে যে তিনটি সংস্থা একচেটিয়া বাজার বজায় রেখেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হল এয়ারটেল, জিও এবং ভিআই। মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স জিও (Jio) বাজারে আসার পরপরই জনসাধারণের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জিওর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এয়ারটেল (Airtel) আর ভিআই (VI) টেলিকম বাজারে চাহিদা বজায় রেখেছে। তবে সম্প্রতি এই তিন টেলিকম সংস্থার ক্ষেত্রেই বড় পদক্ষেপ নিল টেলিকম দপ্তর। ১৫ এপ্রিলের মধ্যে এই পরিষেবা বন্ধ করার নির্দেশ দিল জনপ্রিয় তিন টেলিকম সংস্থাকে।
বর্তমানে ভারতের বহু নিরীহ মানুষ মোবাইলের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার। স্মার্টফোনের কল রেকর্ডিং এর মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বহু সাধারণ মানুষ। এই প্রতারণার হাত থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন তাঁরা? অনেকদিন ধরেই এই বিষয়ে আলোচনা চলছিল। তবে সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল DoT। ইতিমধ্যে টেলিকম দপ্তরের তরফে তিন গুরুত্বপূর্ণ টেলিকম সংস্থার কাছে নির্দেশ পৌঁছেছে। সংস্থাগুলি যাতে কল ফরওয়ার্ডিং ফিচার বন্ধ করে তার জন্য নির্দেশ পাঠিয়েছে সরকার।
কল ফরওয়ার্ডিং ফিচারের কারণে যে বহু মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সে কথা আগেই কানে গিয়েছিল সরকারের। তবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে একটু দেরি হল। বহু মোবাইল ব্যবহারকারী এর আগেই সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন যে বিগত দিনে যাতে এই ফিচার বন্ধ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন অনেকেই। অবশেষে দেশবাসীর কথা চিন্তা করে এবং আবেদনের সাড়া দিয়ে পদক্ষেপ নিল টেলিকম দপ্তর। বর্তমানে জিও এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়া সিম ব্যবহার করছেন দেশের হাজার হাজার নাগরিক। তাদের সবার স্বার্থে টেলিকম দপ্তরের এই নির্দেশ।
আরও পড়ুন – EPFO Update – এবার চাকরি বদল করলেও PF অ্যাকাউন্ট স্থানান্তরে থাকবে না আর ঝামেলা, জানুন বিস্তারিত
- Advertisement -
সূত্রের খবর, বিশেষ USSD কোড ব্যাবহার করে কল ফরওয়ার্ডিং অ্যাক্টিভেট করা হয় এবং তা দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করা হয়। টেলিকম দপ্তর নির্দেশ দিয়েছে, USSD কোড যেমন *401# যা দিয়ে কল ফরোয়ার্ডিং অ্যাক্টিভেট করা হয় সেটি বন্ধ করতে হবে। সাধারণত সাইবার অপরাধীরা যেটা করে, ব্যবহারকারীদের ফোন করে সিমের সমস্যা রয়েছে বলে দাবি করা হয়। এবং একটি বিশেষ ইউএসএসডি কোড ডায়াল করতে বলা হয়। ব্যবহারকারী সেই কোড ডায়াল করা মাত্রই কল ফরওয়ার্ডিং অ্যাক্টিভেট হয়ে যায়। এবং সেই ফোনে যত কল আসবে তা প্রতারকদের কাছে চলে যায়।
BoT- এর নির্দেশ, আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। টেলিকম সংস্থাগুলি যদি বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয় তাতে সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে অনেকটা রক্ষা করা যাবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।