WB Summer Vacation: মার্চের শেষ থেকেই চোখ রাঙাচ্ছিল গ্রীষ্মকাল। গত বছরের আবহাওয়ার গতি থেকেই টের পাওয়া গিয়েছিল চলতি বছরেও মরুভূমি-সম তাপমাত্রা বৃদ্ধির কবলে পড়বে পশ্চিমবঙ্গ। তাপমাত্রার পারদ চড়ছে ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রিতে। দিনের বেলা তাপ প্রবাহ, ঘরবন্দী সাধারণ মানুষ। অত্যাধিক গরমে স্কুলে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন পড়ুয়ারা। আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত বছর নির্ধারিত সময়ের আগেই গরমের ছুটি ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। চলতি বছরেও সেই পন্থা বজায় রইল। এপ্রিলের চড়া গরমে এগিয়ে এলো গরমের ছুটি। স্কুলে স্কুলে সামার ভ্যাকেশন (WB Summer Vacation) ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, এখনও বেশ কিছু দিন ধরেই চলবে তাপপ্রবাহের প্রকোপ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাপমাত্রা পৌঁছে যাচ্ছে ৪০ ডিগ্রির কোঠায়। অত্যাধিক গরমে হাঁসফাঁস দশা সাধারণ মানুষের। ঘর হোক বা বাহির এক বিন্দু শান্তি নেই কোথাও। ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানোর আগেই চিন্তা করছেন অভিভাবকেরা। সবাই চাইছিলেন এগিয়ে আসুক গরমের ছুটি। অবশেষে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে ঘোষণা করা হলো, সোমবার ২২ এপ্রিল থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে সময় ভ্যাকেশন শুরু হবে।
চলতি বছরের ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বছরের গরমের ছুটি পড়ার কথা ছিল আগামী মে মাসে। তবে গরমের অবস্থা বিবেচনা করে ১২ দিন এগিয়ে এসেছিল গরমের ছুটি। জানানো হয়েছিল, ৬ মে থেকে রাজ্যের স্কুলে স্কুলে গরমের ছুটি পড়বে। যদিও সেই নির্দেশ বদলে গিয়ে ২২ এপ্রিল থেকেই সামার ভ্যাকেশন (Summer Vacation) শুরু হয়ে যাচ্ছে। লোকসভা ভোটের কারণে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ছুটি ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু তার মধ্যে আবহাওয়ার ভ্রুকুটি পাল্টা দোসর হয়ে উঠল। গত বছরের মত এই বছরও গরম বিবেচনা করে এগিয়ে এলো গরমের ছুটি। অত্যাধিক গরমে স্কুলে না গিয়ে বাড়ি থেকে পড়াশোনা করবেন শিক্ষার্থীরা।
- Advertisement -
তাপমাত্রার পরিস্থিতি দেখে রাজ্যের স্কুলের সামার ভ্যাকেশন প্রসঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক আয়োজিত হয় নবান্নে। সেই বৈঠকের পরই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, রাজ্যের স্কুলগুলিতে ২২ তারিখ থেকে গরমের ছুটি পড়ে যাবে। যদিও এখনো পর্যন্ত কোন নির্দেশিকা জারি করেনি শিক্ষা দপ্তর। তীব্র দহনে শিক্ষার্থীদের যাতে নিয়মিত হাজিরা মেনে স্কুল যাওয়ার ঝক্কি কমে, তাই রাজ্য সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে অতি শীঘ্রই নির্দেশিকা জারি করবে শিক্ষা দপ্তর। পরবর্তীতে গরমের পরিস্থিতি বিবেচনা করে ঠিক হবে, কত তারিখ পর্যন্ত চলবে গরমের ছুটি।