Government Scheme: রাজ্য সরকার শিক্ষার্থীদের স্বার্থে একগুচ্ছ প্রকল্প শুরু করেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়া ছাড়াও পড়াশোনার উন্নতিতে নানান ধরনের সাহায্য প্রদান করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সম্প্রতি রাজ্য সরকার এমন একটি ঘোষণা করেছে, যা শোনার পরে মুখে হাসি ফুটেছে সবার। মাধ্যমিক পাস করলেই মোটা টাকার আর্থিক সাহায্য পাবেন পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র-ছাত্রীরা। কয়েক হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য পাঠাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শুধু মাধ্যমিক পাস করলেই হবে না, একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হলে তবেই মিলবে এই সুবিধা। রাজ্য সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
অতিমারির দাপটে যখন সারা দেশে ঘরবন্দি মানুষ, ঠিক সেই সময় রাজ্য সরকার একটি প্রকল্পের ঘোষনা করেন। সেই সময় স্কুল কলেজের পাঠ চলত ঘরে বসেই। অতএব শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন ছিল স্মার্টফোন বা ট্যাব। রাজ্য সরকার ঘোষণা করে, স্মার্টফোন বা ট্যাব কেনার জন্য সরকারি তরফে ১০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য করা হবে। আর এই সাহায্য দেওয়া হবে রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের। রাজ্য সরকারের তরফে এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছিল তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প (Taruner Swapna Scheme)। চলতি বছর থেকে এই প্রকল্পের নিয়ম কিছুটা বদল করা হয়েছে। সরকারি তরফে জানা যাচ্ছে, এবার মাধ্যমিক পাস করলেই হাতে হাতে মিলবে প্রকল্পের টাকা। দশ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য পাবেন একাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে গত ১২ ফেব্রুয়ারি। এখনও পর্যন্ত রেজাল্ট নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি হয়নি। তবে জানা যাচ্ছে, এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহ অথবা মে মাসের শুরুর দিকেই বেরোবে মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট। যে সকল ছাত্র-ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা পাস করে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হবেন, তাদের স্মার্টফোন কেনার জন্য ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। গত বছরের মত এই বছরেও দশ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য পাবেন একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা। সরকারের এই প্রকল্পে আবেদন জানানোর প্রক্রিয়া ঠিক কি?
আরেও পড়ুন – Scholarship: মাধ্যমিক পাশ করলেই মিলবে ১২,০০০ টাকার স্কলারশিপ! রেজাল্ট বেরোলেই আবেদন করুন ছাত্র-ছাত্রীরা
- Advertisement -
পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীরা স্কুল মারফত তরুণের স্বপ্ন (Taruner Swapna) প্রকল্পে আবেদন জানাতে পারবেন। প্রকল্পে আবেদন জানানোর জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলি হল- মাধ্যমিকের মার্কশীট, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার নথি, মাধ্যমিকের এডমিট কার্ড, ব্যক্তিগত নানান তথ্য ইত্যাদি। অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ফিল আপ করে সেটি জমা করে দিতে হবে স্কুল মারফত। তারপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হয়ে যাবে সরকারি তরফে ১০ হাজার টাকা। নিঃসন্দেহে এই প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষার্থীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।