Scholarship: পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হলে উচ্চশিক্ষার দরজা খুলে যায় ছাত্র ছাত্রীদের সামনে। তবে উচ্চশিক্ষার জন্য চাই অর্থ। পশ্চিমবঙ্গের বহু মেধাবী ছাত্রছাত্রী অর্থের কারণে পড়াশোনা থেকে দূরে যান। বিশেষ করে ছাত্রীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরো ভয়াবহ। তাই রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গের মেয়েদের জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্প শুরু করেন। তবে এখন শুধুমাত্র কন্যাশ্রী প্রকল্প নয়, উচ্চ মাধ্যমিক পাস করলে ছেলে ও মেয়েরা উভয়েই পাবেন আরও ৫৪০০ টাকা।
রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রীদের জন্য চালু করে কন্যাশ্রী প্রকল্প। এই প্রকল্পের নাম নথিভূক্ত থাকা ছাত্রীরা ১৮ বছর হলে যদি শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তবে ২৫ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য পান। যদিও কন্যাশ্রী প্রকল্পে শুধুমাত্র মেয়েদের জন্যই সাহায্য করা হয়। তবে, এমন একটি স্কলারশিপ রয়েছে যার ছেলেমেয়ে উভয়ের জন্যই। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করলে দেওয়া হয় ৫৪০০ টাকা। স্কলারশিপের নাম ঈশান উদয় স্কলারশিপ (Ishan Uday Scholarship)। স্কলারশিপে আবেদন জানাবেন কিভাবে? স্কলারশিপের শর্তগুলি কি কি? সবিস্তার আলোচনা করব আজকের প্রতিবেদনে।
১) ‘ঈশান উদয় স্কলারশিপ’ কি?
মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার শুরু করে ‘ঈশান উদয় স্কলারশিপ’। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে সাধারণ ডিগ্রী কোর্সের ছেলেমেয়েরা প্রতিমাসে ৫৪০০ করে পাবেন। আর চিকিৎসা/ কারিগরি/প্যারামেডিকেল সহ অন্যান্য ডিগ্রি কোর্সের ছেলেমেয়েরা ৭৮০০ টাকা করে মাসিক বৃত্তি পাবেন। স্কলারশিপের শর্ত এবং আবেদন প্রক্রিয়া জেনে নিন।
২) ‘ঈশান উদয় স্কলারশিপের’ শর্তগুলি কি কি?
i) এই স্কলারশিপের আবেদনকারীকে অবশ্যই দ্বাদশ শ্রেণী উত্তীর্ণ হতে হবে।
ii) স্কলারশিপের আবেদনকারীকে দ্বাদশ শ্রেণী উত্তীর্ণ হয়ে ইউজিসি অন্তর্গত কোন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ইনস্টিটিউটে ডিগ্রি কোর্সের প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করতে হবে।
iii) স্কলারশিপের আবেদনকারীর পারিবারিক বার্ষিক আয় ৪.৫ লাখের মধ্যে হতে হবে।
iv) এই স্কলারশিপের আবেদনকারীকে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির বাসিন্দা হতে হবে।
৩) ‘ঈশান উদয় স্কলারশিপে’ আবেদন জানাবেন কিভাবে?
এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন জমা করতে হলে আপনাকে প্রথমে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে বৃত্তিটি নির্বাচন করে আবেদনপত্রটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিয়ে সেটিকে ফিল আপ করতে হবে। আবেদনপত্রে নিজের সমস্ত তথ্য যথাযথভাবে উল্লেখ করবেন। তারপর আপনার যাবতীয় নথি আবেদনপত্রের সঙ্গে যুক্ত করবেন। অনলাইনে আবেদনপত্রটি সাবমিট করে দেবেন। একটি কপি প্রিন্ট আউট করে নিজের কাছে রেখে দেবেন। পরে আপনার আবেদনটি খতিয়ে দেখা হবে। আপনি যদি যোগ্য হন, সরাসরি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্কলারশিপের টাকা চলে আসবে।